ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি
টাকা ইনকাম করতে কে না চায়। আর সেটা যদি হয় ঘরে বসে তাহলে তো কোন কথায় নেই। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখে সেটা অন্যদের কাছে শেয়ার করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন খুব সহজে। সময় এখনি নিজের জন্য ভাবার।
অনলাইনে ইনকাম করার সপ্ন এখন প্রায় প্রতিটা ছেলে মেয়ের। তবে সঠিক দিক নির্দেশনা, বাস্তব অভিজ্ঞতা, কাজের ধারনা, এই গুলোর অভাবে পিছিয়ে আছে অনেকেই। আর এই সব গুলো সমস্যার সমাধান নিচে দেওয়া হল। হয়তো এখান থেকেই আপনার অনলাইন জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।
পেজ সুচিপত্রঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি
- ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি
- টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট বাংলাদেশ
- কোন ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়
- ওয়েবসাইট থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
- ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা লাগে
- ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
- ওয়েবসাইট থেকে হালাল ইনকাম করবেন যেভাবে
- ওয়েবসাইটে হারাম ইনকাম কোন গুলো
- ওয়েবসাইট কয় ধরনের হয় ও কি কি
- ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করব কিভাবে
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি
আজকের সময়ে ইন্টারনেট মানে শুধু তথ্য জানা বা তথ্যের ভাণ্ডার হিসাবে নয়,
ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে একটি উপার্জন মাধ্যম। যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট
থেকে থাকে তাহলে হতে পারে সেই ওয়েবসাইট আপনার স্বপ্ন পূরণের চাবিকাঠি।
ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? উত্তরটা খুবই সহজ। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিটা যতটা জটিল ভাবা যায় আসলে
বাস্তবে সেটা খুব সহজ। তবে কিছু নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম গুলো যদি আপনি ধাপে
ধাপে মেনে কাজ করেন তাহলে বিষয়টা অনেক সহজ। আপনি যা জানেন বা যে বিষয়ে
দক্ষ সেই বিষয় গুলো হাজারো মানুষের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে আপনি
ইনকাম করতে পারবেন। এমনকি আপনি যদি কোন ঘরোয়া টিপস, রুপচরচা, রান্না বা শিক্ষা
সম্পর্কে কিছু জেনে থাকেন তাহলে সেটা দিয়ে শুরু করেন।
পাঠক যখন আপনার লেখা পড়ে উপকৃত হবে ঠিক তখনই আপনি আয় করার সুযোগ পাবেন।
ওয়েবসাইটে সুন্দর, গোছানো ও মানসম্মত লেখা বা ভিডিও আপলোড করলে গুগুল সেই
ওয়েবসাইটটিকে মানুষের সামনে তুলে ধরে। সেই ওয়েবসাইট যদি ভিজিটরদের পছন্দ হয়
তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচারের জন্য আপনার ওয়েবসাইটে স্পন্সর
কন্টেন্ট দিতে চাইবে ।আর এখান থেকেই ইনকাম শুরু। ভালো মানের কন্টেন্ট
লিখেও গুগুল থেকে অ্যাডসেস্ন নিয়ে আয় করতে পারেন।
টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট বাংলাদেশ
আপনার কি একটি ওয়েবসাইট আছে? আপনি কি চান ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম
করতে? তাহলে আর দেরি নয় আজই শুরু করুন আপনার স্বপ্ন পূরণের পথযাত্রা। আজকের
সময়ে আপনার
একটি ওয়েবসাইট থাকা মানেই আপনার নিজের একটা পরিচয় তৈরি করা। আপনি যদি লেখা লেখি
করেন,কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে লিখতে
পারেন। গুগুল অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি হয়ে উঠতে পারে আয়ের
উৎস।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধ করতে মেহেদি জবা
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে সফলভাবে ফ্রিলান্সিং ও ওয়েবসাইট থেকে
ইনকাম করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছে। অফিসের চাপ, বাইরে গিয়ে কাজ করা, কারো
অধিনে কাজ করা এই ঝামেলা গুলো ছাড়াই শুধু মাত্র হাতে থাকা মোবাইল বা
ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। আপনি যা জানেন বা যে
বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয় গুলো হাজারো মানুষের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে
আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
এমনকি আপনি যদি কোন ঘরোয়া টিপস, রুপচরচা, রান্না বা শিক্ষা সম্পর্কে কিছু জেনে
থাকেন তাহলে সেটা দিয়ে শুরু করেন। পাঠক যখন আপনার লেখা পড়ে উপকৃত হবে ঠিক তখনই
আপনি আয় করার সুযোগ পাবেন। ওয়েবসাইটে সুন্দর, গোছানো ও মানসম্মত লেখা বা ভিডিও
আপলোড করলে গুগুল সেই ওয়েবসাইটটিকে মানুষের সামনে তুলে ধরে। সেই ওয়েবসাইট যদি
ভিজিটরদের পছন্দ হয় তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য প্রচারের জন্য আপনার
ওয়েবসাইটে স্পন্সর কন্টেন্ট দিতে চাইবে । আর সেখান থেকেই আপনি আয় করতে
পারবেন।
কোন ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়
আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে ভাবছেন অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায়? সবাই অনলাইন থেকে
ইনকাম করছে, কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে আপনি পিছিয়ে আছেন? আসলে এখন সময়
এমন যে শুধু ইন্টারনেট আর ইচ্ছাশক্তি থাকলেই উপার্জন এর পথ খুলে যাবে।
ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ইন্টারনেটে কিছু নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ
ঘরে বসেই আয় করতে পারছে। কেউ কাজ করছে ডিজাইন নিয়ে,কেউ কন্টেন্ট লিখে কেউবা
ভিডিও বানিয়ে আয় করছে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেটা দিয়েই শুরু করতে পারেন আপনার
কাজের যাত্রা। কেউবা ফাইভার বা আপওয়ার্ক এ নিজের দক্ষতা বিক্রি করে আয় করছে।
যেমন কারো ভালো লাগে ভিডিও বানাতে, সে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে নিয়মিত
কন্টেন্ট আপলোড করে আয় করছে। কেউ নিজের ছোট্ট ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে গুগুল
আডসেন্স থেকে ইনকাম করছে।
আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে,যেমন অন্যের পণ্য আনলাইনে প্রোমোট করে কমিশন
অর্জন করে টাকা ইনকাম করছে। এমনকি কিছু কিছু সাইট আছে, যেখানে ছোট ছোট কাজ করে
আয় করা সম্ভব - যেমন সার্ভে ফিলআপ, অ্যাপ রিভিউ বা ভিডিও দেখে । এককথায় আপনি
যদি নিজের ধৈর্যের আর একটু শেখার ইচ্ছা রাখেন তাহলে আনলাইন থেকে ইনকাম এর দরজা
সবসময় খো লা।
ওয়েবসাইট থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
যদি আপনি নিয়মিত সময় ও ধৈর্য নিয়ে কাজ করেন তাহলে ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে
২০,০০০ টাকা ইনকাম করা কঠিন কিছু নয়। আর তার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটি
নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে,যেটা মানুষ সার্চ করে এবং পড়তে আগ্রহী হয়।
যেমন ফ্রিল্যান্সিং, রূপচর্চা, রান্না, সাস্থ, অনলাইন ইনকাম, প্রযুক্তি বা ঘর
সাজানো। এই বিষয়গুলোকে ঘিরে প্রতিনিয়ত ভালো মানের পোস্ট লিখতে হবে। যাতে গুগল
আপনার সাইটটিকে গুরুত্ব দেয়।
যত বেশি লোক আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবে ইনকামের সুযোগ তত বেশি হবে।
আপনি চাইলে সেখানে গুগল এডসেন্স যুক্ত করতে পারেন। যেটা অটোমেটি বিজ্ঞাপন
দেখাবে এবং ভিজিটররা সেটা দেখবে অথবা সেখানে ক্লিক করলে আপনার আয় হবে।
আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়। যেমন অন্যের পূর্ণ অনলাইনে
প্রোমোট করে কমিশন অর্জন করে টাকা ইনকাম।
অথবা নিজের ডিজিটাল পণ্য বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। যেমন ই-বুক কোর্স বা
টেমপ্লেট।তবে শুরুতেই বিশ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব নাও হতে পারে। ৩-৬
মাস নিয়মিত কাজ করলে সেটা ধীরে ধীরে আয় বাড়ে। এমনকি ধৈর্য নিয়ে কাজ করলে এক
সময় ২০ হাজার কেন তার থেকেও অনেক বেশি ইনকাম হবে। বিষয়টা ধৈর্য মানসম্মত
কনটেন্ট এবং সঠিক পরিকল্পনার।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা লাগে
ওয়েবসাইট বানাতে খুব বেশি টাকা লাগে না । তবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের
ওয়েবসাইট বানাবেন তার উপর। ওয়েবসাইট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তারমধ্যে কিছু
উল্লেখ্যযোগ্য হলো ব্লগিং, ই-কর্মাস, প্রোর্টফোলিও, সংবাদ ও শিক্ষামূলক
ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট গুলো ২টি প্লাটর্ফম ব্যবহার করে খোলা যায়।ব্লগার ও
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে কোন টাকা খরচ না করেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান বাংলাদেশ
কিন্তু এখানে শুধু আপনার ওয়েবসাইটের নামের শেষে blogspot.com ও
Wordpress.com যুক্ত থাকবে। এখন আপনি যদি এই শব্দগুলো এড না রাখতে চান তাহলে
ডোমেইন কেনার জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে। বিভিন্ন রকমের ডোমেইন রয়েছে যেমন,
.com/.xyz/.org/.iso ইত্যাদি। এসব ডোমেইন এর দাম বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।৩০০
টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। ডোমেইন নাম আপনি ১ বছরের জন্য নিতে
পারেন। ডোমেইন কেনার পরে হোস্টিং কিনতে হয়।
হোস্টিং কিনতে ১ বছরের জন্য খরচ হয় ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। ফ্রি থিম
ব্যবহার করা যায় আবার আপনি চাইলে প্রিমিয়াম থিম কিনতে পারেন। যার আর ১৫০০ থেকে
৩০০০ টাকা লাগতে পারে। তাহলে এখন কথা হচ্ছে মোট কত খরচ পড়বে? আপনি যদি সব
প্যাকেজ মিডিয়াম নেন তাহলে চলুন দেখি আপনার খরচ কত টাকা আসতে পারে। ডোমেইন
(১৫০০টাকা) + হোস্টিং(১৫০০টাকা) + থিম(১০০০টাকা)= মোট( ৪০০০ টাকা)। তাহলে মোট
আপনি ৪০০০ টাকা খরচ করেই একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে
ওয়েবসাইট তৈরি করতে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস লাগে। ঠিকভাবে কাজ করতে এবং সেগুলো
ইন্টারনেটে দেখানোর জন্য। সহজ ভাষায় বলতে গেলে প্রথমে আপনাকে একটি নাম ঠিক করতে
হবে,যে নামটা হবে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা বা ডোমেইন। ডোমেইন কিনার আগে ডোমেইন
বিক্রি করে এমন ওয়েবসাইটে ( যেমন, Namecheap, Hostinger, Domain ইত্যাদি) চেক
করে নিতে হবে ডোমেইন নাম ফাকা আছে কি না ।আপনাকে আগে নিশ্চিত হতে হবে
ডোমেইন নাম ফাকা আছে কি না।
যদি থাকে তাহলে উপরে বর্নিত ওয়েবসাইট দ্বারা ( যেমন, Namecheap,
Hostinger, Domain ইত্যাদি) কিনে নিতে পারবেন। ডোমেইন কেনার পর প্রয়োজন
হোস্টিং। হোস্টিং এমন একটি জায়গা যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সব লেখা,ছবি , ফাইল
ইত্যাদি সংরক্ষন করে রাখা হয়। হোস্টিং ভালো হলে ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয় আর
নিরাপদ থাকে। ওয়েবসাইট বানানোর জন্য একটি সফটওয়্যার বা সিস্টেম প্রয়োজন
যেটাকে বলা হয় CMS।CMS হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় WordPress। এটা ব্যবহার করে খুব
সহজে কোডিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
আপনি চাইলে ফ্রি থিম অথবা ডিজাইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি নিজে বানাতে চান তাহলে শুধু কম্পিউটার বা মোবাইল ইন্টেরনেট এর
মাধ্যমে ইউটিউব বা গুগুলে প্রচুর ফ্রি টিউটোরিয়াল আছে সেখান থেকে দেখে শিখে
নিতে পারবেন।অবশেষে সব মিলিয়ে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে লাগে একটা নাম, যাকে
বলা হয় ডোমেইন, একটা জায়গা অর্থাৎ হোস্টিং, একটা ডিজাইন বা কাঠামো
অর্থাৎ থিম/ওয়ার্ডপ্রেস। এই সব গুলো একত্রিত করেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার
কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইট থেকে হালাল ইনকাম করবেন যেভাবে
প্রতিদিন ঘরে বসেই হতে পারে আপনার হালাল ইনকামের পথ তৈরি। আমাদের
দিকনির্দেশনা, পড়লে আপনার ইনকামের নতুন দরজা খুলবে ইন
শা আল্লাহ। আমরা যা খাই, যা পরি, যেভাঅভিজ্ঞতাবে চলাফেরা করি সবই আমাদের
উপার্জনের উপর নির্ভরশীল। আর সেই উপার্জন যদি হয় হারাম পথের তাহলে প্রভাব পড়বে
জীবনের প্রতিটি অংশে। হালাল ইনকাম হলো সৎভাবে, নির্ভরযোগ্য ভাবে এমনকি অন্যকে
না ঠকিয়ে আয় করা। নিচে কিছু হালাল ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- ওয়েবসাইট থেকে হালাল ইনকাম
- ই-কর্মাস ব্যবসা করে হালাল ইনকাম
- ব্লগিং ও কন্টেন্ট লিখে হালাল ইনকাম
- ফেসবুক ও ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরি করে হালাল ইনকাম
- অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় করা
- ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফ্রর্ম থেকে হালাল ইনকাম
- ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা
উপরে বর্ণিত প্রতিটি সাইট থেকে আপনি হালাল ভাবে আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইট থেকে
হালাল ইনকাম করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন আপনার নিয়ত ও পদ্ধতি। আপনাকে এমন বিষয়ে
ওয়েবসাইট বানাতে হবে যেটা মানুষের উপকারে আসে। ইসলামি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ,
রান্না, হস্তশিল্প বা অনলাইনে উপার্জনের উপায় ইত্যাদি। "যে ব্যক্তি হালাল রিজিকের
জন্য পরিশ্রম করে, সে আল্লাহর পথে জিহাদকারীর মতো।
ওয়েবসাইটে হারাম ইনকাম কোন গুলো
রোজ ইনকাম করছেন, কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত আপনি যে ইনকাম করছেন সেগুলো
হালাল? অনলাইন জগতে অনেক পথ আছে ইনকাম করার, কিন্তু সব পথই কি সঠিক? একটি ভুল
লিংক, একটি ভুল ক্লিক, একটি হারাম চুক্তি যা আপনার উপার্জনকে করে দিতে পারে
পাপময়,হারাম। হারাম পথে ইনকাম আছে তবে শান্তি নেই। হারাম টাকা জমাতে পারবেন
কিন্তু জীবনে বরকত থাকবে না।
সাধারণত জুয়া, সুদের কারবার, অবৈধ পণ্য, সেবার প্রচার, অশ্লীল অনৈতিক কনটেন্ট
থেকে আয় করা হারাম । আবার অনেকেই হ্যাকিং সেখানো বা স্ক্যামিং সেখানো কন্টেন্ট
দিয়ে ইনকাম করে । এইগুলো ইনকামও হারাম । অনেকেই বিভিন্ন প্রোডাক্টের ভুয়া রিভিউ
দিয়ে ইনকাম করছে ।
ওয়েবসাইট কয় ধরনের হয় ও কি কি
ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য, কাজ ও কন্টেন্ট অনুযায়ী ওয়েসাইট অনেক ধরনের হতে পারে।
ওয়েবসাইট এমন এক ধরনের প্লাটফর্ম, সেখানে কেউ তথ্য দেয়, কেউ সেই তথ্য দেখে বা
পড়ে, কেউ ব্যবসা করে বা যোগাযোগ রাখে। কেউ ওয়েবসাইট বানায় শুধুমাত্র
নিজের চিন্তা ভাবনা লিখে প্রকাশ করার জন্য, কেউ ওয়েবসাইট
বানায় পণ্য বিক্রি করার জন্য।
কেউ নিজের একটা ব্লগ বানায় আর সেখানে বিভিন্ন জিনিস, যেমন রান্নার রেসিপি,
ভ্রমনের অভিজ্ঞতা লেখা এমনকি জামা-কাপড়, গয়না, প্রসাধনী বা অন্যান্য জিনিসপত্র
বিক্রি করে। আবার এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো শুধু পড়াশোনা শেখানোর জন্য
বানানো হয়, যেখানে টিউটোরিয়াল, কোর্স, পরিক্ষা ইত্যাদি। এমনকি কিছু ওয়েবসাইট
আছে যেগুলোর কাজ শুধু একটা অ্যাপ বা সফটওয়্যারের
সেবা দেওয়া ।যেমন ডিজাইন বানান, ছবি এডিট করা, ফাইল কনভার্ট করা ইত্যাদি।
ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করব কিভাবে
আপনি চাইলেই Blogger বা WordPress.com ব্যবহার করে ফ্রি ওয়েবসাইট খুলতে
পারবেন। কিন্তু এই
মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে ওয়েবসাইট খুললে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। যেমন
Blogger দিয়ে যদি আপনি
একটি ফ্রি ওয়েবসাইট খুলেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের URL এর পরে Blogspot .com
থাকে। আবার ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যদি ওয়েবসাইট খুলেন তাহলে Wordpress.com
থাকে।
আপনি যদি এই বিষয়গুলো রাখতে না চান তাহলে আপনাকে কাস্টম ভাবে কিনে নিতে হবে। এখন
আপনি যদি মনে করেন যে না কিনবেন না ফ্রিতে চালাবেন তাও হবে। এই ফ্রিতে ওয়েবসাইট
খুলেও গুগলের র্যাংক করানো যায়। কিন্তু এর একটি অসুবিধা আছে
অসুবিধাটি হলো আপনার ওয়েবসাইটটি যখন গুগলের র্যাংক করবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর
আসবে তখন আপনার ওয়েবসাইট টি হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
মানে আপনার ডোমের নামটি অন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করে নিলে ওয়েবসাইট টি তার হয়ে
যাবে। তাই আমার মতে প্রথম অবস্থায় আপনি যদি ফ্রিতে ওয়েবসাইট খুলে ব্যবহার করতে
চান তাহলে করতে পারেন কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ কনটেন্ট হয়ে গেলে
গুগলের ব্র্যাংক করা শুরু করলে তখন অবশ্যই কাস্টম ডোমেন কিনে আপনার ওয়েবসাইটটি
রেজিস্ট্রেশন করে নিবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করার সহজ পদ্ধতি
বর্তমান বিশ্বে তথ্যওপ্রযুক্তির ছোঁয়া লাগার পরে আমাদের জীবন যাত্রার মান যেভাবে
উন্নত হয়েছে ঠিক সেভাবেই তথ্যওপ্রযুক্তি ইনকামের দুয়ার খুলে দিয়েছে। চাইলেই
এখন ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টেরনেট ব্যবহার
করে ইনকামের সহজ পদ্ধতি হলো ওয়েবসাইট খুলে ইনকাম। ওয়েবসাইট খুলতে কি কি লাগে?
কিভাবে খুলবেন? কতো টাকা প্রয়োজন? কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন? এসবের
বিস্তারিত গাইড করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে। আমি আশা করছি, আপনি যদি এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা যায় কিভাবে? এই বিষয়ে অজানা কিছু
থাকবে না। ধন্যবাদ।



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url